স্মৃতিঘর বুকের ভিতর
আমীরুল আরহাম
(দেড় হাজার ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভাংচুর – সূত্র: প্রথম আলো/ ২০-০৮-২০২৪)

তোমরা ভাঙ্গছো মূর্তি, দলিল, ছবি
আমি গড়েছি স্মৃতিঘর বুকের ভিতর
পাঁজরার বেড়ায় রেখেছি ঘিরে ইতিহাস
রেখেছি লিখে ঐতিহ্য আমার, মুক্তিযুদ্ধ
মহাসিন্দুর কল্লোল, এঁকেছি আকাশে
নিরন্তর মিশে আছে উদয় অস্ত রবির।
তোমরা ছিঁড়েছ ইতিহাস, ভেঙ্গেছ দালান
মিথ্যা আর অপপ্রচারের সাজানো ইটে
গড়েছ প্রাসাদ গড়েছ সংসদ, সংবিধান
ভাঙ্গা ছেঁড়া গড়ার প্রতিযোগিতায় তোমরাই
কপট রাজনীতিক ব্যবসায়ী, আমলা
বাহিনী, ছাত্র আর চাটুকাদের বেড়াজালে
আইনের কাঁটা তারে ঘিরেছ দুঃশাসন
মানবতার মাথায় যখন তখন করেছো হামলা
সকল অধিকারে বঞ্চিত মানুষ পায়নি বিচার আইনে
ভালবাসনি দেশ, ভালবাসনি মানুষ, কিনেছ বিদেশ
বাবলা, শিরিশ, শিমুল কেটে ঘিরেছ প্রাসাদ
ফার্ন, ম্যাপেল, দারুচিনি ওক পাইনে।

আমার নেতাকে বারবার মেরেছ তোমরাই
মানুষ রাখনি তাঁরে মানুষের মতো করে
করেছো মহামানব অথবা দানব রেখেছো তোমাদের দলে
নেতার সাজে পোশাকে সেজেছ ক্লাউন
বাজারে বাজারে সস্তা দামে বিক্রি করেছো তাঁকে
পেশাদার স্বার্থলোভী বুদ্ধিজীবী শিল্পীর কলমে
নানান সৌখিনতায় এঁকেছ রঙিন নকশী ইতিহাস
এ-মাটির প্রতিটি কোণায় কতো মানুষের কতো আত্মদান
তাঁদেরকে তোমরা করেছো অবহেলা করেছো অপমান।

তোমাদের গড়া তাম্র মূর্তি ভেঙ্গে ধুলা মাটি ঝেড়ে
স্বর্ণ মূর্তি গড়বো হৃদয়ে জনতার মতো করে
সসম্মানে আনব স্মরণে যারা জীবন করে গেছে দান
মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাস সাজানো থাকবে যাদুঘরে
চোখের ভিতরে সাজিয়ে রাখবো স্মৃতির কারাগারে।

Honte a touché mon doigt
l’enfant du diable cherche un abri sur ma poitrine
son ongle n’a pas la griffe du soldat birman
sur sa peau douce pas de rayure de tigre
pas de tatouage
mais dans sa mémoire instinctive l’incendie brûle
maisons bananiers cocotiers fruits de la terre

Honte a touché ma joue
aussitôt frissonne mon corps sous la pluie tombée drue sur la tôle en rafale
la terre mouillée a une odeur de poudre
la fumée remplit la maison les yeux fermés
je l’approche de ma poitrine sa peau sent la boue d’automne

Honte a tiré doucement mes cheveux
ses yeux dans mes yeux racontent son père violeur
des centaines d’histoires cruelles
depuis Adam jusqu’à Gengis Khan
mongols anglais birmans de toutes religions
soldats gouvernants peuples
histoires du masculin

Honte a touché mon visage
ça dit l’histoire d’une maman sans défense
de pères violeurs de tortures innombrables et impitoyables

Honte a touché mon cou
mon mari bien-aimé dont le tueur, père de l’enfant dont la bouche s’ouvre,
avec un couteau a coupé le cou dans cette nuit impensable
histoire bestiale

Honte a touché le poêle à bois
ça me dit le moment où le père bestial
a jeté au feu l’enfant de mon âme

Honte a posé ses yeux dans mes yeux
dans son regard fixe je vois son père à genoux
avouant ses si nombreux péchés

Honte a touché ma poitrine
soudain dans le feu du tonnerre
je crie sous l’illusion de la main du violeur

Honte a touché mes mamelons de ses lèvres
le nectar passe dans ses yeux fermés en un hoquet
dans ses yeux son visage ondule la lueur de la lune
il sourit aux anges

Honte s’est blottie sur ma poitrine
avec affection je l’ai serrée contre mon sein
dans mon entourage beaucoup de femmes ne sont pas enceintes
et moi je suis coupable déchet de la société
putain veuve maman de la honte
Honte à mes seins dans le jardin du paradis
se balance pétale de la fleur
Honte fille de mon violeur
avec l’enfant de mon ventre
je suis une femme aimante
maman éternelle

* Traduit par Amirul Arham et Marc Verhaverbeke